সাইকাস(Cycas) মূলত নগ্নবীজী একধরনের উদ্ভিদ। উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়া এদের জন্য ভালো। অ আরেকটা কথা পৃথিবীতে বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের মধ্যে এ সাইকাস অন্যতম। ধারণা করা হয় প্রায় ৩০ কোটি বছর আগে এ সাইকাস উদ্ভিদের সূচনা ঘটে। অবাক হওয়ার মতো কথা হলেও একটি সাইকাস উদ্ভিদ ২০০ বছর বেচে থাকে। আমাকে বিশ্বাস নাও হতে পারে। চলুন প্রমাণ দেওয়া যাক-
পৃথিবীতে বিশেষ কিছু এলাকায় সাইকাস লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে উষ্ণ এলাকায়।যেমন- অষ্ট্রেলিয়া,ভারত, জাপান,চীনএবং বাংলাদেশে। বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় সাইকাস প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। চলুন আরেকটা মজার তথ্য দিই- সাইকাস উদ্ভিদকে বাংলাদেশে মনিরাজ এবং সাইকাস উদ্ভিদের পুষ্পকে মনিরাজ ফুল বলা হয়। যদি সচারাচার সাইকাস বাংলাদেশের সব এলাকায় দেখা যায় না।

আবার পাম উদ্ভিদ এবং ফার্ন এর পাতার সাথে সাইকাস উদ্ভিদ ও সাইকাসের পাতার কিছুটা মিল থাকায় অনেকে সাইকাসকে পামফার্ন ও বলে থাকে।
বিজ্ঞানীদের মতে বর্তমান পৃথিবীতে সাইকাস বর্গের ৯টি গণের প্রায় ১০০টি প্রজাতি টিকে আছে।
এবার চলুন উদ্ভিদটির বাহ্যিক বিবরণ দেওয়া যাক- সাইকাস এর কান্ড খাড়া। কান্ড সাধারনত ৮ ফুট হতে ১৪ ফুট পর্যন্ত উচু হতে পারে।
সাইকাস কে জীবন্ত জীবাশ্ম বলা হয়।
এ সাইকাস উদ্ভিদের মধ্যে আবার পুরুষ এবং স্ত্রী প্রজাতি লক্ষ করা যায়। পুরুষ প্রতিতে ফুল ফোটে না তবে ভূট্টা এর মতো দেখতে মুকুল দেখা যায়। নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো-

আমরা অনেকে মূলত এ উদ্ভিদটাকে দেখেছি আবার অনেকে দেখিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কার্জনহল এর সামনে একটি সাইকাস উদ্ভিদ লক্ষ করা যায়।

অ আরেকটা কথা বলতে ভূলেই গিয়েছিলাম বর্তমানে প্রত্যেক জেলার সরকারি কলেজের মাঠে এ সাইকাস উদ্ভিদ দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় এ উদ্ভিদ সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Botany বিভাগ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে উপহার দিয়েছে।