আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার সবুজ-শ্যমল সেই গায়-
ধোলোউড়া কাচা মাটির রাস্তায় হাটব;
ময়না-টিয়ার সাথে গলা ছেড়ে গাইব;
কর্দময় মিঠাপানির নদীতে নাইব;
বল-ব্যাট হাতে আবারও মাটিতে খেলব;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার মায়ের মতো সেই গায়-
হতে চাই ছোট্ট, খোকা মায়ের আচলে;
হতে চাই দূরন্ত, অজপাড়া গায়ের ছেলে;
হতে চাই কর্মঠ, জাল হাতে জেলে;
হতে চাই ফুটবল, পায়ে গ্রামের পেলে;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার হাজারো স্মৃতিময় সেই গায়-
যেখানে কৃষক-জেলে সবাই গায় গান;
যেখানে গেলে অনূভবে পাব রক্তের টান;
যেখানে গেলে ফিরে পাব জীবন্ত প্রান;
যেখানে পাব শত ফুটন্ত ফুলের ঘ্রাণ;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার অরণ্যেঘেরা শ্যামল সেই গায়-
যেখানে একত্রে কাজ করে নারী আর নর;
যেখানে কেউই নয়তো কারো পর;
যেখানে আছে টিনের চালার হাজারো ঘর;
যেখানে নদী শুকিয়ে জেগে উঠে চড়;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার শান্ত-নির্জন সেই গায়-
চিরবহমান মেঘনা বয় যার বুক চিড়ে;
আম,জাম,কাঠাল গাছ থাকে যাকে ঘিরে;
মাথার উপরে শত পাখিরা এক হয়ে উড়ে;
সন্ধ্যে হলে পাখিরা দল বেধে ফিরে নীড়ে;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার আপন জনের কাছে সেই গায়-
যেখানে গ্রীষ্মে দেখা পাই অসহ্য গরমের;
যেখানে বর্ষায় একটানা উৎসব চলে বৃষ্টির;
যেখানে হেমন্তে উৎসব চলে নবান্নের;
যেখানে বসন্তে কাজ চলে পত্র সৃষ্টির;
আমি আবার ফিরে যেতে চাই,
আমার সুরভীমাখা সেই গায়-
যেখানে গাছের পাতা থেকে সবকিছু হাসে;
যেখানে সূর্যকিরণ পরে কুয়াশামাখা ঘাসে;
যেখানে স্বপ্ন দেখা যায় চোখ মেলে দিবসে;
যেখানে সর্বদা বাতেশে ফুলের ঘ্রান ভাসে;
আমি ফিরে যেতে চাই,
আমার স্বপ্নঘেরা সেই গায়-
যেখানে খুব সকালে হয় ঘুম থেকে উঠা;
যেখানে ঊষার আহার পান্তাভাত একমুঠা;
যেখানে মুখে লাগে হরেক রকমের পিঠা;
যেখানে নদীর পানিও মধুর মতো মিঠা;;;;;
